বন্ধ করা হচ্ছে ‘অনিবিন্ধত সিম’ ব্যবহারের ফাঁক-ফোকর। গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হতে ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ’ যাচাই করেই ‘সিম’ নিবন্ধন করতে হবে অপারেটরদের। এরপরই সচল হবে মোবাইল সংযোগ।
আর সেই লক্ষ্যেই মোবাইল অপারেটরদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজে প্রবেশের সুযোগ করে দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল ফোন অপারেটরসের (অ্যামটব) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। খুব শিগগিরি তিনি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও আলাপ করবেন বলে জানিয়েছেন মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব কর্মকর্তাদের।
তবে এই কথা জানানোর একদিন পরই মন্ত্রী জান্ডিসে আক্রান্ত হওয়ায় উদ্যোগটি বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মার্চ-এপ্রিল নাগাদ হয়তো নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে অপারেটররা নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ ব্যবহার করতে পারবে। নতুন সংযোগ দেয়ার আগে গ্রাহকের দেয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপির সঙ্গে মূল ডাটাবেজে সংরক্ষিত তথ্য মিলিয়ে দেখার জন্য এ সুযোগ দেয়া হবে।
ভুল তথ্য দিয়ে কেউ যেন মোবাইল সংযোগ নিতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতেই এ পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “মোবাইল অপারেটররা যাতে ভোটার তালিকা থেকে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করে সংযোগ চালু করতে পারে সে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।”
বর্তমানে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও ভুয়া তথ্য দিয়ে সংযোগ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া তথ্য দিয়ে নেয়া এসব সংযোগের মাধ্যমে প্রতারণাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ ব্যবহার করছে। এখন পর্যন্ত কোনো বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানকে এই ডাটাবেজ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি।
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহারের সুযোগ পেলে অপারেটররা অনলাইনে গ্রাহকের পরিচয় ও তথ্য নিশ্চিত করে সিম চালু করার ব্যবস্থা নিতে পারবে। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি কিংবা অন্য কোনো নথি ব্যবহার করে গ্রাহকরা মোবাইল ফোনের সংযোগ নিতে পারে। এর ফলে চাঁদাবাজি, হুমকি, সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে ভুয়া সিমের ব্যবহার কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
No comments:
Post a Comment